বসলো পদ্মা সেতুর ৩৯তম স্প্যান, আর বাকি দুটি

বসলো পদ্মা সেতুর ৩৯তম স্প্যান, আর বাকি দুটি

মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১০ ও ১১ পিলারের ওপর বসানো হয়েছে পদ্মা সেতুর ৩৯তম স্প্যান। এর ফলে সেতুর ৫ হাজার ৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১২টা ২০ মিনিটে ‘টু-ডি’ নামের স্প্যানটি বসানো হয়। এই স্প্যান বসানোর ফলে পদ্মা সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বসতে বাকি থাকলো আর মাত্র দুইটি স্প্যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান মো. আব্দুর কাদের।

নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কারিগরি জটিলতা না দেখা দেওয়াতে আজ বেলা ১২টা ২০ মিনিটে ‘টু-ডি’ নামের স্প্যানটি স্থাপন করা হয়। এর ফলে সেতুর ৫ হাজার ৮৫০ মিটার দৃশ‌্যমান হয়েছে। এই স্প‌্যান বসানোর ফলে চলতি নভেম্বর মাসে (এক মাসে) সেতুতে মোট ৪টি স্প্যান বাসানোর কাজ সম্ভব হলো।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছিল। প্রথম স্প্যান থেকে শুরু করে আজ ৩৯তম স্প্যান বসানো পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময় ছিল ৩ বছর একমাস ২৮ দিন।

পদ্মাসেতু নির্মাণে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। এর মধ্যে বসানো হয় এক হাজার ২৩৯টির বেশি রোড স্ল্যাব। এছাড়া ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। এরমধ্যে বসানো হয় এক হাজার ৮৪৮টির বেশি রেল স্ল্যাব। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের বসানো স্প্যানগুলোতে এসব স্ল্যাব বসানো হচ্ছে। মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে দুইটি স্প্যানের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মাসেতুর কাঠামো। সেতুর উপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

আপনি আরও পড়তে পারেন